কাশ্মির ইস্যুতে সৌদি যুবরাজকে ফোন দিয়ে যা বললেন ইমরান খান
কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা (৩৭০ অনুচ্ছেদ) বাতিলের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান
খান ফোনালাপ হয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম জিয়ো নিউজ এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়, ভারত সরকার কর্তৃক একতরফাভাবে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল এবং



রাজ্য দুটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার বিষয়ে সৌদি যুবরাজকে অবহিত করেন ইমরান খান। মোহাম্মাদ বিন সালমানের কাছে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীর বিষয়ে
ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের ফলে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ও শান্তি বিঘ্নিত হবে। তাছাড়া এমন সিদ্ধান্ত উপমহাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হবে।’ উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের



মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর জম্মু-কাশ্মিরের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে রাজ্যসভায় বিল পাস করেছে বিজেপি সরকার। জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন
বিল ২০১৯ নামের এ বিলের আওতায় জম্মু-কাশ্মিরকে দু’ভাগ করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিণত করার কথা বলা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ হবে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।



আরো পড়ুন>> রাজশাহী মহানগরীর ১০০টি স্থান পর্যবেক্ষণ করে মোট ১৪টিতে এডিসের লার্ভা পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ দল। এমন কি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস ও হাসপাতাল
এলাকাতেও লার্ভা পেয়েছেন কীটতত্ত্ববিদরা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। রাজশাহীতে ডেঙ্গুর বিস্তারের আশঙ্কার কথা রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বুধবার



বিকেলে তারা জানান, এডিস মশা প্রতিরোধে কয়েকটি সুপারিশসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠানো হবে। তবে এ নিয়ে কোনো আতঙ্ক নয়, বরং সচেতন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার আহ্বান
জানিয়েছেন তিনি। কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসাপালে ভর্তি হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। এর আগে এডিস মশার লার্ভা সনাক্তকরণের জন্য গত ১ আগস্ট তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। রাজশাহী বিভাগীয়



স্বাস্থ্য পরিচালক গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এই কমিটি করে দেন। পরে ২ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত মহানগর এলাকার মোট ১শ’টি স্পটে অনুসন্ধান চালায় কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি। তারা এডিস মশার
উপস্থিতি নিশ্চিত হতে এই কমিটি গত ২ আগস্ট থেকে মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডের সন্দেহজনক স্পটগুলোয় যান। এর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ মোট ১৪টি স্পটে এডিসের লার্ভা পান। এ সময়



তার নমুনা সংগ্রহ করে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের হ্যাচারীতে নিয়ে যান। সেখানে বর্তমানে তাদের বংশ বিস্তারের প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নগরীর ১৪টি স্পটের মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে পড়ে থাকা ভাঙা বেসিন ও ওয়ার্ডের পাঁচটি জায়গায় জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি মিলেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে



নারিকেলের মালায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে তারা এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। একইভাবে মেডিকেল কলেজের ফালুগনী ছাত্রীনিবাসের সামনে আইসক্রিমের বক্সে জমে থাকা পানিতেও লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়া
মহানগরীর উপশহর এলাকার রংধনু টাওয়ারের পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের ড্রামে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে, একই এলাকার ২২৪ নম্বর বাড়ির পরিত্যক্ত পাত্রে, তিন নম্বর সেক্টরের ১৬৪ নম্বর বাড়ির ফুলের টবে ও পরিত্যক্ত



কর্কশীটে ও ২০১ নম্বর বাড়ির ফুলের টবে, মহানগরীর আট নম্বর ওয়ার্ডের সিপাইপাড়া এলাকার মারুফের বাড়ির সামনের নারিকেলের মালায়ে, একই এলাকার আরেকটি বাড়িতে ফুলের টবে, চার নম্বর ওয়ার্ডের
কেশবপুরের মাসুদ রানার বাড়ির প্লাস্টিকের পাত্রে, সেলিনা বেগমের বাড়ি ফুলের টবে ও মিলনের বাড়ির টায়ারে ও মাটির পাত্রে জমে থাকা পানিতে লার্ভা পাওয়া গেছে।

Comments
Post a Comment