মোদি কাকু সুযোগ পেলেই বাংলাদেশ দখল করবে বিস্তারিত


ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারার এবং এর অধীনে ৩৫ (ক) ধারা বাতিলের পর সারাবিশ্বে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্কের মতো দেশ। নজরধারীতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন এ তথ্য। পাশাপাশি চীনও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে।
আর এমতাবস্থায় বাংলাদেশে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ঢাবি শিক্ষার্থীদের মিছিল বের করে এ ধারা বাতিলের প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।
সর্বশেষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ফয়জুল করীম চরমোনাই কাশ্মীরের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সময় ও প্রয়োজনে জীবন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফয়জুল করীম বলেন, কাশ্মীর ৩৭০ ধারা এবং তার অধীনে ৩৫ ধারা অনুযায়ী তারা স্বতন্ত্র এক দেশ থাকবে। শুধু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মাত্র তিনটা জিনিস কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকবে।
নেহেরু সাহেব এ সংবিধানে ভারতে করেছিলেন। কাশ্মীরের জনগণ ব্যবসা, সরকারি চাকরি সব সুবিধা ভোগ করবে এবং তারা সেখানে স্বাধীন থাকবে।
ওই এলাকায় বহিরাগত কোনো দেশের লোক ভারত হোক বা অন্য কোনো দেশের লোক হোক, তারা জমি ক্রয় করতে পারবে না।
তিনি বলেন, কিন্তু মোদি সরকার সেই ৩৭০ ধারা পরিবর্তন করেছে অবৈধভাবে।
ভারতের সংবিধানের ২ ও ৩ ধারার মধ্যে কোনো প্রদেশকে অধীনে আনতে গেলে শর্ত আছে সেই শর্ত মোদি সরকার মানেনি।
প্রেসিডেন্ট অর্ডিন্যান্স জারি থাকে সেই প্রদেশের সংসদের অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু মোদি সরকার কাশ্মীরের সংসদের অনুমতি গ্রহণ করেনি। কাশ্মীরের সংসদ নেই।
অনুমতি গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। ফয়জুল করীম বলেন, ভারতের সংবিধানের দিকে লক্ষ্য না রেখে কাশ্মীরে মোদি সরকার আগ্রাসন চালাচ্ছে, দখলের ষড়যন্ত্র করছে।
আমাদের ভয় হয়, তার এই ষড়যন্ত্রের চক্ষু বাংলাদেশে পড়তে পারে। লাদেশের প্রত্যেকটা নাগরিককে (হিন্দু-মুসলমান) এর মোকাবিলায় দাঁড়াতে হবে।
আজকে কাশ্মীরে মুসলিম দলিত হচ্ছে, ভারতের মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে। সেখানে অবৈধভাবে দেশ দখলের চক্রান্ত করছে।
আমি মনে করি, যদি মোদিকে সুযোগ দেয়া হয় তাহলে এই সুযোগ পেয়ে সে বাংলাদেশ দখল করার চক্রান্ত করবে।
কোনো অবস্থায়ই মোদি সরকারকে কাশ্মীর দখল করতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি।
তিনি বলেন, এর প্রতিবাদে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে, আন্দোলন করতে হবে।
যদি আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের জীবন দেয়ার প্রয়োজন হয় জীবন দেব। মোদি সরকারের এ লোলুপ দৃষ্টি দেশের দিকে পড়বে এটা আমরা মেনে নেব না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক নজিবুর রহমান,
ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম ওমর প্রমুখ।

Comments

Popular posts from this blog

Banglalink 39 Taka Recharge Offer New

How To Connect Devices To Test Facebook Audience Network Ad [Test device IDFA - AAID ]

FTP Movie Server Bangladesh